স্টাফ রিপোর্টার, ঈদগাঁও :: সদরের ঈদগাঁও বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রনের বাইরে। দেখার যেন কেউ নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো চালের দাম বৃদ্বিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। দিশেহারা হয়ে পড়েন খেটে খাওয়া লোকজন।
৮ অক্টোবর সকালে ঈদগাঁও বাজারের চাউল ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা জানান, চাউলের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা। বস্তা প্রতি প্রায় তিনশত টাকা। নেই কোন তদারকি।
ইরি ধান (মোটা) ১৯ শত ৫০ টাকা থেকে ২১শত টাকা, ২৮ নং ২২শত টাকা থেকে ২ হাজার ৫শত টাকা, ২৯ নং ২১শত টাকা থেকে ২৪ শত টাকায় বিক্রি করছেন বলে। জানান এক খুচরা চাল ব্যবসায়ী।
চাল ব্যবসায়ী দ্বিগুন দামে চাল বিক্রয়ে বিপাকে পড়েছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাধারন লোকজন। দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল লোকজন হিমশিম খাচ্ছে।
টমটম চালক কাসেম জানান, যে চাউলের বস্তা ১৯শত ৫০ টাকায় কিনেছিল, সে চাউলের বস্তা বর্তমানে প্রায় আড়াই শত টাকা বাড়িয়ে কিনতে হচ্ছে। গাড়ী চালিয়ে দৈনিক যা আয় করে, তা দিয়ে সংসার কোনভাবেই চলেনা।
চাল ব্যবসায়ী বশির জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চাউলের দাম। এমনকি বস্তা প্রতি আড়াই থেকে তিশশত টাকার মত বৃদ্বি পেয়েছে। আড়তে বেড়েছে চালের মূল্যে। অসহায়দের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া বিরাজ করছে।
ফরাজী রাইস মিল মালিক নুরুল আজিম জানান, গ্রামগঞ্জে ধান নেই। ধান ব্যবসায়ীরা ধান পাচ্ছেনা। সে সুবাদে বৃদ্বি পেয়েছে চাল।
সাধারন লোকজন জানান, চাউল বাজারে নেই মূল্য তালিকা। অতিরিক্ত দামে হিমশিম খাচ্ছে অসহায় এবং দৈনিক আয়ের লোকজন। খুচরা চাউল কিনতে গিয়ে একেকটি একেক দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে মনিটরিং করার দাবী জানান।
পাঠকের মতামত: